ব্রেকিং নিউজ
গণপরিবহনে ৩০ শতাংশ আসন খালিসহ ১১ প্রস্তাব

গণপরিবহনে ৩০ শতাংশ আসন খালিসহ ১১ প্রস্তাব

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেয়া সাধারণ ছুটি শেষ হতে যাচ্ছে। কাল রোববার থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে প্রায় সবকিছু। তবে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব এবং শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবহন-মালিকদের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।

মন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবগুলো হলো :

১. বাস টার্মিনালে কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীরা গাড়ির লাইনে দাঁড়াবেন এবং টিকিট কাটবেন।

২. স্টেশনে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৩. বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না।

৪. বাসের সব আসনে যাত্রী নেওয়া যাবে না। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অসন খালি রাখতে হবে। পরিবারের সদস্য হলে পাশের আসনে বসানো যাবে, অন্যথায় নয়।

৫. যাত্রী, চালক, সহকারী, কাউন্টারের কর্মী সবার জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।

৬. ট্রিপের শুরুতে এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির ভেতরসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।

৭. যাত্রী উঠানামার সময়ে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৮. চালক, কন্ডাকটরের ডিউটি একটানা দেওয়া যাবে না। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোয়ারেন্টাইন বা রেস্ট দিতে হবে।

৯. মহাসড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে পথে থামানো, চা-বিরতি অ্যাভয়েড করতে পারলে ভালো। কারণ সংক্রমণ কোথা থেকে হবে তা কেউ জানে না।

১০. যাত্রীদের মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

১১. ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিআরটিএর একটি কমিটি রয়েছে, সেটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তিসঙ্গত ভাড়া চূড়ান্ত করবে।

---------