ব্রেকিং নিউজ
প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করলেন আবুল হোসেন

প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করলেন আবুল হোসেন

মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। পাশেই ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। এ সময় কুশল বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন আবুল হোসেন। প্রধানমন্ত্রীও তার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন।

আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তখন তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। যদিও পরবর্তীতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।এরআগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে রওনা দেন শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় সভামঞ্চে পৌঁছান তিনি।

দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সেখানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন। এর পর টোলপ্লাজার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর সড়কপথে জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেন।

সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেন।দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে জনসভা শেষ করে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২-এর উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। পরে জাজিরা প্রান্ত থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন

---------