স্টাফ রিপোর্টার:-বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাত পাখা প্রতিকের প্রচারণায় প্রথম দিনে মাঠে নেমেছেন ২১০০ নারী কর্মী। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৭০ জন করে দলভূক্ত হয়ে ৩০টি ওয়ার্ডেই একযোগে প্রচারণা শুরু করেছে।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনায় গণমাধ্যম সমন্বয় কমিটির সদস্য কেএম শরিয়তউল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রিয়ভাবে কর্মপরিকল্পনা করে আরো বেশি নারীকর্মীরা প্রচারণায় যুক্ত হবেন।
সরেজমিনে ২৩, ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের পক্ষে ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। সেই সাথে হাতপাখায় ভোট দেওয়ার আহবান রাখছেন।
হাত পাখায় ভোট চাইতে আসা টিম লিডার জানান, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলামি হুকুমত কায়েম হবে এবং চরমোনাই দরবারের নায়েবে আমির হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বরিশালের খেদমত করার সুযোগ চান। তিনি বলেছেন, আমি মেয়র হতে চাই না, আমি বরিশালবাসীর খাদেম হতে চাই।
টিম লিডার বলেন, আমাদের প্রার্থীর প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছি। তার (প্রার্থী) কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সার বিনিময়ে মাঠে নামিনি। মন থেকে ভালোবেসে আমরা তাকে চাই এজন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, মানুষের ধারণা চরমোনাই পীরের হাতে যদি শাসন থাকে তাহলে হযরত ওমর (রা:) এর শাসন ব্যবস্থার মত সু শাসন নিশ্চিত হবে। এজন্যই মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীকে ভোট দিবে।
ওদিকে দুপুরে নিজের প্রচারনায় মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, গণসংযোগে মানুষ যেভাবে আমাকে আশ্বস্ত করছে তাতে আমার মনে হচ্ছে মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবো। নির্বাচন কমিশনের বিগত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনগুলোর কারণে আমরা ফলাফল হাতে পাবার আগ পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত নই। কে আ.লীগ, কে বিএনপি কিংবা কে জাতীয় পার্টি সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, বরিশালের সকল ভোটারই আমার দাওয়াতের আওতাভুক্ত। আমি সবার কাছেই হাতপাখার দাওয়াত নিয়ে হাজির হবো এবং নগরবাসীকে ভোটের দিন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে হাতপাখায় ভোট দেয়ার অনুরোধ করবো।
বাংলাবাজার এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করিম আরো বলেন, পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে নির্বাচন কমিশনের ওপর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আমাদের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সুতরাং যাতে ভোটে কারচুপির সুযোগ না পায় সেক্ষেত্রে নগরবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।