ব্রেকিং নিউজ
গোপালগঞ্জে খেলা চলাকালীন সময়ে বজ্রপাতে খেলোয়াড়ের মৃত্যু

গোপালগঞ্জে খেলা চলাকালীন সময়ে বজ্রপাতে খেলোয়াড়ের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা অবস্থায় বজ্রপাতে ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড় তামজিদ আহমেদের (১৯) মৃত্যু হয়েছে। এ খবর শোনার পর জেলা প্রশাসক হাসপাতালে ছুটে যান।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি কাজী মাহাবুবুল আলম, সদর থানার ওসি মো: জাবেদ মাসুদ ও ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির সহকারী কোচ রাশেদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তামজিদ আহমেদ টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার আলোয়া ইউনিয়নের নিকালকদিম গ্রামের ইমাম আলীর ছেলে। সে ঢাকায় থেকে ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির নিয়মিত থেলোয়ার হিসাবে খেলে আসছিল।

ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির সহকারী কোচ রাশেদুল ইসলাম জানান, আজ বুধবার শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গোপালগঞ্জ আবাহনী ক্রিকেট একাডেমীর সাথে ফ্রেন্ডস স্পোর্টস একাডেমি ঢাকার মধ্যে ৪০ ওভারের তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের খেলা চলছিলো।

এসময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে বেলা দেড়টার দিকে খেলা চলাকালীন সময়ে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় ডিপ স্কোয়ার লেগে ফিল্ডিং করার সময় বজ্রপাতে তামজিদ আহমেদ গুরুত্বর আহত হন। পরে সহ খেলোয়াড়েরা তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনসার আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দনসহ ক্রীড়াঙ্গনের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান।

ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ও আবহনী ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড় প্রান্ত শিকদার জানান, দুইদিন আগে স্বাগতিক আবহনী ক্রিকেট একাডেমির সাথে ঢাকা জেলার ধানমন্ডি ক্লাব ৪টি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গোপালগঞ্জে এসিছি। তামজিদ এসময় স্কোয়াড লেগে ফিল্ডিং করতেছিলো। হটাৎ বিদ্যুৎ চমকালে আমরা সকল খেলোয়াড়রা কানে হাত দিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ি। তামজিদ ও আমাদের সাথে মাটিতে শুয়ে পড়েছিল। পরে সবাই উঠলেও তামজিদ উঠে নাই। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাবেদ মাসুদ জানান, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে ডিসি স্যারও উপস্থিত ছিলেন। আমরা নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেছি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি কাজী মাহাবুবুল আলম বলেন, নিহতের পরিবার চাইলে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের সদস্য যোগাযোগ করা হয়েছে। #♦

---------