ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামে ১৬ কিলোমিটার খাল পুন:খননে কৃষকের স্বস্তি

কুড়িগ্রামে ১৬ কিলোমিটার খাল পুন:খননে কৃষকের স্বস্তি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীতে ৪দশ পরে গিরাই নদী ও মরা শংকোষ খাল ২১টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬কিলোমিটার পুনঃ খননে কৃষকের স্বস্তির নিঃশ্বাস এবং কৃতজ্ঞতার সাথে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজশাহী বিএমডিএ নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ ও বিএমডিএর রংপুর সাকের্লের “ইআইআর” প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান খান-কে। গিরাই নদী ও মরা শংকোষ খালগুলো খনন শেষ হওয়ায় দখলমুক্ত ও অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ায় দুই পাড়ের ফসলি জমিতে সেচ সুবিধা ও দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়ছে এবং পানি প্রবাহ ফিরে আসায় চলতি বন্যার প্রকোপ কমেছে আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ কৃষিজমিতে ফসল চাষে কৃষকরা হচ্ছে সাবলম্বী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবং বিএমডিএর রংপুর সাকের্লের “ইআইআর” প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান খান মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ রূপকল্প বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে ‘স্মার্ট খাল পুনঃ খনন’ দুর্বার গতিতে বিধি মোতাবেক এবং নাগেশ্বরী বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলীর মাহাবুর আলমের পর্যবেক্ষণে নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গিরাই নদী ৮.৩৩কিলোমিটার ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩কোটি ৭৫লাখ টাকা এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নে মরা শংকোষ ৬.৯০কি‌লো‌মিটার ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১কোটি ৫০লাখ টাকা বরাদ্দে পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। খাল পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দুই পাড়ের ফসলী জমিতে কৃষকরা নিচ্ছে সেচ সুবিধা ও চলতি বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন হয়েছে এবং সঞ্চিত পানিতে হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলীসহ কৃষি কাজে ব্যবহার করে অনেকে সাবলম্বি হয়ে উঠছে। দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো অবৈধ দখল ও পলি পড়ে ভরে যায় আর উক্ত খালে খনন কাজ শেষ করায় খুশি স্থানীয়রা। এছাড়াও গত অর্থ-বছর বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত ৬কিলোমিটার পুনঃ খাল খনন হওয়ায় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এলাকার মানুষ পেয়েছে খাল খননের সুবিধা।

নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী ব্যাপারী লাকু বলেন, মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রীর মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। গিরাই নদী ৮.৩৩কিলোমিটার পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় চলতি বন্যার পানি এলাকা থেকে নিমেষে নেমে গেছে। দুই পাড়ের ফসলের জমিতে সেচ দিয়ে কৃষকরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

চর ভুরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মানিক উদ্দিন ও স্থানীয় সৈয়দ আলী, সোলায়মান হোসেন, খয়বর আলীসহ অনেকে বলেন, মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হওয়ায় এবারে বন্যার পানির জলাবদ্ধতা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। জমিতে সেচ দিয়ে ফসল চাষাবাদ করার পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষ করাসহ বিভিন্ন উন্নতি হচ্ছে।

ঠিকাদার মনোয়ার হোসেন লিটন ও মোসলেম উদ্দিন বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নাগেশ্বরী গিরাই নদী ও ভুরুঙ্গামারীর মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিধি মোতাবেক শেষ করা হয়েছে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো পলি পড়ে মজাভরে যাওয়া এ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। খনন শেষ হওয়ায় স্থানীয়রা সুফল ভোগ করছেন।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ রংপুর সার্কেলের-ইআইআর প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেন, মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ রূপকল্প বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে ‘বিএমডিএর স্মার্ট খাল পুনঃ খনন’ দুর্বার গতিতে বিধি মোতাবেক শেষ হয়েছে। গিরাই নদী- মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হওয়ায় খালে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও বৃষ্টি বন্যায় পানি সহজেই নেমে যাচ্ছে ফলে জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে এতে করে কৃষকরা অনেক সুফল পাচ্ছে।

রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এসব খাল পুনঃ খনন শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো অন্যান্য মজাভরা খালগুলি পূনঃ খনন করা হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গিরাই নদী ও মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় দখলমুক্ত ও অস্তিত্ব ফিরে পেয়েছে। চলতি বন্যার প্রকোপ কমেছে আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ কৃষি জমিতে কৃষকরা সেচ ব্যবহারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে আর কৃষকের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো অবৈধ দখল ও পলি পড়ে ভরে যাওয়ায় বিএমডিএর মাধ্যমে খালগুলো পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন এবং সঞ্চিত পানিতে হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলীসহ কৃষি কাজে ব্যবহার করে অনেক কৃষক সাবলম্বি হবে।

---------