ব্রেকিং নিউজ
পিতৃহারা রজতা সেন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে শঙ্কায়

পিতৃহারা রজতা সেন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে শঙ্কায়

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির,মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পিতৃহারা রজতা সেন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে শঙ্কায় । বিধবা মা বাড়িতে বসে দর্জির কাজ করে পড়াশোনা করিয়েছেন মেয়েকে। আর্থিক টানাপোড়েনের সংসারে ভালো কোন খাবারও কপালে জোটেনি, জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া মেয়েটি এবারের এসএসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে রেকর্ড গড়েছেন। বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন মেয়েটি। কখনো কোন বিষয়ে প্রাইভেট বা কোচিংয়ে পড়ার সুযোগ হয়নি মেয়েটির।

জানা যায়,বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাওলিয়া ইউনিয়নের সন্যাসী বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ন হওয়া অদম্য মেধাবীনি রজতা সেন লিন্ডার কথা বাবাকে হারিয়েছে ২০১৯ সালে। বিধবা মায়ের স্বপ্ন তার মেয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার কিংবা বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে। তারপরও কপালে চিন্তার ভাঁজ বিধবা মা রঞ্জীতা শীলের। অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।রজতা সেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাওলিয়া ইউনিয়নের সন্যাসী গ্রামের মৃত অমুল্য কুমার সিকদারের মেয়ে।

২০২৩ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করেছে লিন্ডা। মায়ের বুকের লালিত স্বপ্ন পুরণ করতে চায় রজতা সেন। কিন্ত শিক্ষা লাভের অর্থ যোগানের ভাবনা কুঁড়ে-কুঁড়ে খাচ্ছে মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে। তাহলে কি অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবে লিন্ডার? আবেগ আপ্লূত হয়ে তার মা বলেন, টাকার অভাবে আমি কি মেয়েকে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবো না? আমার স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে? টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। আজ অবধি আমার মেয়ে প্রাইভেট-কোচিং কাকে বলে জানে না।

লিন্ডার মা বলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওর বাবা মারা যায়। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন লিন্ডা ক্লাস সেভেনে পড়ে। সেখান থেকে আমার কষ্টের পথচলা শুরু। ওর বাবার ভিটে মাটি বলতে কিছুই নেই।ওর বাবার বড় ভাইয়েরা কৌশলে সকল জায়গা জমি এমনকি ভিটেমাটিও লিখে নিয়ে যায়। বড় মেয়ে লিন্ডার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে,আমি ওর পড়াশোনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ও সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সহায়তা চাই।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়ে লিন্ডা সে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করায় আমরা গর্বিত। প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানরা নজর দিলে তানিয়ার ভালো কলেজে পড়াশোনা আটকাবে না।

সন্যাসী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব শিকদার বলেন, লিন্ডা অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী, লিন্ডার পরিবারের অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কথা চিন্তা করে আমরা ওর কাছ থেকে সেমিস্টার ফি, পরীক্ষার ফি গ্রহন করি নি, আমরা লিন্ডার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। ##** ছবি সংযুক্ত আছে ** ## **
(এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির)
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)সংবাদদাতা
০১৭১১৩৭৭৪৫০

---------