অনলাইন ডেক্সঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এইচ এস সি পরিক্ষার্থী সামিয়া ইসলামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের ডহরপাড়া গ্রামে তাদের বাড়ির দোতলারএকটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ডাসার শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের এইচ এস সি পরিক্ষার্থী।
নিহত সামিয়া ইসলাম (১৮) ডহরপাড়া গ্রামের মৃত সহিদুল ইসলামের মেয়ে। স্বামি সহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর সামিয়ার মা শিখা ইসলাম সন্তানদের নিয়ে ওই ভবনের দোতলায় বসবাস করে আসছেন। সামিয়ার মা শিখা ইসলাম ও ভাই সায়েম খন্দকার দাবি করেছেন পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বজনেরা সামিয়াকে হত্যা করে লাশ ফ্যনের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
আজ রবিবার সায়েম খন্দকার বলেন – ছোট দক্ষিন পাড়া গ্রামের মহিলা মেম্বর স্বপ্না আক্তার মিনির সাথে আমাদের পুরানবাড়ির জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে সামিয়াকে একা বাসায় রেখে আমরা ছোট দক্ষিন পার গ্রামে গেলে মিনি মেম্বরের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে সাহিন হাজরা,রুনু আক্তার,তুহিন হাওলাদার ও মিনারা বেগমকে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ফিরে সামিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। আমাদের ধারনা পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মিনি মেম্বরের লোকজন সামিয়াকে বাসায় একা পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে আমতলী ইউপি সদস্য স্বপ্না আক্তার মিনির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- তাদের সাথে আমাদের শুধু কথাকাটাঁকাটি হয়েছে,এছারা আর কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি,হত্যা বা আত্মহত্যার ব্যপারে আমরা কিছুই জানিনা,আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর জন্য যড়যন্ত্র চলছে।
এসআই হাদি আব্দুল্লাহ বলেন- নিহত সামিয়ার বাম হাতের কব্জিতে রক্তের দাগ দেখা গেছে।ময়না তদন্ত শেষে বোঝা যাবে এটা হত্যা- না আত্মহত্যা।
নিহতের ডাসার শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠিরা এ ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এর সঠিক তদন্ত দাবি করে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন- সামিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে,এব্যপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে,ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তি ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।