অবশেষে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। নানা সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘হ্যাঁ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেছেন।
তবে আমাকে তিনি জানাননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’’
জানা গেছে, সিএমএসডি থেকে মালামাল নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদতা বিক্রী করে দিয়েছিলেন। সেই মালামাল রিজেন্ট হাসপাতালেও পাওয়া যায়নি। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে কিভাবে চুক্তি করা হয়েছিল সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
গত ১২ জুলাই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর ৩ দিনের মধ্যে তার জবাব দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
জবাবে তিনি বলেছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে তিনি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
কিন্তু স্বাস্থ্য সেবাবিভাগ থেকে বলা হয়েছে এই জবাব সন্তোষজনক নয়। এ ব্যাপারে তাকে আরো একটি চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিশদ ব্যাখ্যা চেয়ে।
এ নিয়ে যখন অধিদপ্তরের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের টানাপোড়েন চলছে, তখন কেঁচো খুড়তে সাপ বের হলো। দেখা গেলো শুধু চুক্তিই করেননি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিএমএসডি’র গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রিজেন্ট হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর করেছে, যা যে কোনো আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।