ব্রেকিং নিউজ
দক্ষিণবঙ্গের ‘স্বপ্নের দুয়ার’ উদ্বোধনের সাক্ষী হতে লোকে লোকারণ্য

দক্ষিণবঙ্গের ‘স্বপ্নের দুয়ার’ উদ্বোধনের সাক্ষী হতে লোকে লোকারণ্য

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খুলনার মংলা উপজেলার চাঁদপাই এলাকা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরায় এসেছেন রাবেয়া বেগম (৩৮)। বাস থেকে নেমে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে হাঁটছেন।

তার সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা হয় ভাঙ্গা-মাওয়া-এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাচ্চর মোড় এলাকায়।

রাবেয়া বেগম বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের কাছে স্বপ্ন। আমাদের জন্য পদ্মা সেতু যে কী আবেগের তা বলে বোঝাতে পারব না। তাই হাঁটতে কোনো কষ্ট হচ্ছে না।’

তিনি প্রায় ৩০ মিনিট ধরে হাঁটছেন এলাকার অন্যান্যদের সঙ্গে। জানেন না কতটা পথ হাঁটতে হবে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানস্থল থেকে পাচ্চর মোড়ের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার।

পাচ্চর মোড় গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য এ মহাসড়ক। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা যানবাহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পাচ্চর মোড় থেকে কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের রাস্তায় যানবাহন প্রবেশ করার জায়গা নেই। এ কারণে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছেন যাত্রীরা।

পুলিশ জানায়, শনিবার (২৫ জুন) ভোর থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোত থেকে অন্তত ৪ হাজার গাড়ি জাজিরা প্রান্তে এসেছে।

যানবাহনের সারিতে আটকে বাসচালক মির আজম (২৩) জানান, ভোর ৫টায় তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চিতলমারী এলাকা থেকে এসেছেন। পাচ্চর এলাকায় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে আটকে আছেন। বাসের সবাই নেমে পায়ে হেঁটে চলে গেছেন।

পাচ্চরের ৫ কিলোমিটার আগে হাঁটছিলেন নাসরিন সুলতানার (৪৫) সঙ্গে। তিনিসহ প্রায় ৬০ জন নারী এসেছেন শিবচর উপজেলার দক্ষিণ কোয়ারচর থেকে। তারা প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে হাঁটছেন।

তিনি বলেন, ‘আরো ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। রোদ থাকায় হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মনে আছে আনন্দ তাই কষ্ট হচ্ছে না।’

জানতে চাইলে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সড়কে যানবাহনের অনেক চাপ। রাস্তায় হাজার হাজার যানবাহন। তাই অনেকে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে।’

---------