ব্রেকিং নিউজ
মাদারীপুরে কিশোরীকে ধর্ষনের শাস্তি ১৫ টি জুতাপেটা।ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদার কতৃক সালিশ ও মিমাংসা।

মাদারীপুরে কিশোরীকে ধর্ষনের শাস্তি ১৫ টি জুতাপেটা।ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদার কতৃক সালিশ ও মিমাংসা।

মাদারীপুরে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে চার কন্যা সন্তানের পিতার বিরুদ্ধে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালিশী ডেকে অভিযুক্তকে ১৫টি জুতার বারি দিয়ে সমাধান হয়েছে বলে নির্যাতিতার পরিবারকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার ও স্থানীয়রা। এতে ক্ষুব্ধ মানববধিকার কর্মীরা। যদিও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদরের পাঁচখোলা ইউনিয়নের এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় পাশের বাড়ির ভ্যানচালক ও চার কন্যা সন্তানের পিতা মামুন। পরে জোরপূর্বক ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। কিশোরীর চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় মামুন। বিষয়টি স্থানীয় মাদবরদের জানালে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গত বুধবার মীমাংসা বসে উভয়পক্ষ। পরে অভিযুক্তকে ১৫টি জুতার বারি দেয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আর নির্যাতিতার পরিবারকে মামলা করতে নিষেধ করেন তিনি। এ ঘটনার পর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে ওই কিশোরীর পরিবার ও এলাকাবাসী।

ধর্ষনের ঘটনার পর কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি না হতে পরামর্শ দেয় স্থানীয় নেতারা। বিষয়টিতে ক্ষোভ জানিয়ে বিচার দাবী করেন মানববধিকার কর্মীরা।

বিষয়টি নিয়ে পাঁচখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদারের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। আর একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে মাদারীপুর পুলিশ সুপার জানান, ধর্ষনের শাস্তি সালিসে মিমাংসা আইন লংঘন করা।এটি অবশ্যই আইনের মাধ্যমে হওয়া উচিত। যে বা যাহারা সালিশ করে এটি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ও আইনি ব্যাবস্হা নেয়া হতে পারে।তদন্ত করে নেয়া হবে আইনগত ব্যাবস্হা।

---------